সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা কিভাবে জানবো: আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এই সমস্যার আংশিক সমাধান দেবো। অনেকেই বিভিন্ন বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন, সিম কার্ড কার নামে রেজিট্রেশন করা আছে এই নিয়ে।
সিম কার্ড নাম্বার আসলে ঠিক কার নামে রেজিট্রেশন করা আছে সেটা আমাদের সাধারণ ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীদের বের করা প্রায় অসম্ভব হলেও এর বিকল্প অনেক পদ্ধতি আছে।
আপনি tricks খাটিয়ে এই কাজগুলো করতে পারেন।তাহলে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে কাস্টমার কেয়ার যেতে হবে না।যে কোন সিমের সত্যিকারের মালিকানা সনাক্ত করার জন্য সবচেয়ে উত্তম জায়গা হচ্ছে কাস্টমার কেয়ার। কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে সকল গ্রাহক সিমের যাবতীয় সেবা নিতে পারেন।
অনেকের ক্ষেত্রে এরকম হয় যে, একটি সিম কুড়িয়ে পেল। এখন সে এটি নির্দ্বিধায় ব্যবহার করছে। কিন্তু যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে পরবর্তীতে তবে সিম ব্যবহারকারী সত্যিকারের মালিকানা খজতে থাকে সেই কুড়ে পাওয়া সিমের ।
এছাড়াও আমাদের দেশে কিছু সামাজিক সমস্যা হয়ে থাকে। নিম্ন শ্রেণীর অশিক্ষিত মানুষের অযাচিত কর্মকাণ্ডের ফলে সিমের মালিকানা বের করতে হয়।
তো চলুন শুরু করা যাক, “সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা কিভাবে জানবো” কন্টেন্টটি।
অবশ্যই পড়ুন –
সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা কিভাবে জানবো ?
সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা কিভাবে জানবো: আপনাকে আমি প্রথমত যে ট্রিক্স টি শেখাতে পারি তা হচ্ছে কোড নাম্বার ডায়াল করে কোন এনআইডি কার্ডে ব্যাবহার করে কতগুলা সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে তার লিস্ট বের করা।
এখানে এনআইডি কার্ড (NID CARD) বলতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আডি কার্ড।কিভাবে বের করবেন সেটা বলে দিচ্ছি।
আপনার যে সিমটির মালিকানা বের করতে চান, সেটি কোনো ফোনে ঢুকিয়ে তারপর ডায়াল করুন *16001# ।
ডায়াল করার পর আপনাকে ভোটার আইডি কার্ডের শেষের ৪ ডিজিট বসাতে হবে। তবে এখানে প্রশ্ন হল কার ভোটার আইডি কার্ডের শেষ ৪ ডিজিট বসাবেন?
এ পদ্ধতিটা মূলত পাট ক্ষেতে ঢিল মারার মত। আপনার সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের যেকোনো একজনের ভোটার আইডি কার্ডের শেষ চার ডিজিট বসিয়ে দেখবেন।
যদি ফিরতি মেসেজে mismatch আসে তাহলে বুঝতে হবে ওই আইডি কার্ড দিয়ে সিম কার্ডটি রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি।
এভাবে পর্যায়ক্রমে *১৬০০১# ডায়াল করে সকল সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ভোটার আইডি কার্ডের শেষ ৪ ডিজিট বসিয়ে চেক করে দেখতে হবে।
যদি কোনটার reply এরকম আসে তাহলে বুঝবেন যে এটিই হচ্ছে সেই আইডি কার্ড যা দিয়ে উক্ত সিমটি রেজিস্ট্রেশন করা আছে।
এছাড়াও আপনারা আরো এক ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি বলেন, আমার এনআইডি নাম্বারে কতগুলো সিম রেজিস্ট্রেশন করা আছে সেটি কিভাবে বের করব? তাহলে এর উত্তর এই কনটেন্টেই আমি দিচ্ছি।
আমার আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা আছে ?
প্রথমত আপনাকে একটি সিম নিতে হবে যেটি আপনি সাম্প্রতি কিনেছেন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা আইডি কার্ড ব্যবহার করে।
আগে নিশ্চিত হন যে আপনি, আপনার আইডি কার্ড ব্যবহার করে সিমটি কিনেছিলেন। এখন কাজ হল আইডি কার্ড ব্যবহার করে আপনি যে সিমবি কিনেছিলেন সেটি মোবাইলে ঢুকিয়ে আবার ডায়াল করুন *১৬০০১# এরপর আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের শেষ চার ডিজিট দিয়ে “send” বাটনে ক্লিক করুন।
আপনি একটি মেসেজ পাবেন। আপনি দেখতে পাবেন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বরে বা ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে কতগুলো সিম রেজিস্ট্রেশন করা আছে।
আপনি কতগুলো সিম রেজিস্ট্রেশন করেছেন সেটি দেখতে পাবেন সাথে সিমের নাম্বার গুলোর প্রথম তিন ভিজিট এবং শেষ তিন ডিজিট দেখতে পাবেন।
আমার এই কন্টেন্টের শ্রোতাদের জন্য আরও একটি ট্রিক্স উপস্থাপন করছি। এটি হচ্ছে Truecaller apps.
Truecaller ব্যবহার করে সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে কিভাবে জানবো ?
Truecaller ব্যবহার কোন সিম কার্ডের মালিকানা বের করার দুটো পদ্ধতি রয়েছে।
আপনি চাইলে Truecaller ওয়েবসাইট ব্যবহার করে এ কাজটি করতে পারেন ।
অথবা আপনি Truecaller Website ব্যবহার করে সিম কার্ডের ব্যক্তি মালিকানা নির্ণয় করতে পারেন।
তো চলুন একে একে পদ্ধতিগুলি আলোচনা করা যাক।
Truecaller ওয়েবসাইট ব্যাবহার করার নিয়ম
প্রথমে আপনাকে Truecaller এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এই লিংকে ভিজিট করন: Truecaller
এরপর আপনি একটি নাম্বারের বক্স দেখতে পাবেন। আপনি যে নাম্বারের মালিকানা খুঁজতে চান অর্থাৎ যে সিমের আসল মালিক কে খুঁজতে চান সেই সিমের নাম্বারটি এই বক্সে প্রবেশ করাবেন।
বক্সে প্রবেশ করানোর পর আপনি “সার্চ” বাটনে ক্লিক করবেন। এরপর আপনাকে “সাইন ইন” করতে বলবে। সাইন ইন করার জন্য আপনি যেকোনো মেইল ব্যবহার করতে পারবেন।
আপনার যদি জিমেইল থাকে তাহলে সেটি দিয়ে ভেরিফিকেশন করে নিবেন। আবার কারো কারো মাইক্রোসফট কিংবা হট মেইল থাকে তারা সেটি ব্যবহার করে সাইন ইন করবেন।
আপনি যদি Truecaller এর আগের ব্যবহারকারী হন অর্থাৎ ওই ওয়েবসাইটে যদি আপনার একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে আপনাকে নতুন করে কোন একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে না।
সাইন ইন করা হলে আপনি প্রাপ্ত ফলাফলটি একটি স্ক্রিনে দেখতে পাবেন।
এ পদ্ধতিটি বেশ কার্যকর যখন সিমের প্রকৃত ব্যবহারকারী Truecaller অ্যাপস ব্যবহার করে থাকে। এর অর্থ এই যে, ধরুন আপনি একটা সিমের নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম ইমেইলসহ address বের করতে চান।
আপনি সেই সিমের নাম্বারটি ট্রুকলার ওয়েবসাইটে কপি পেস্ট করে কাঙ্খিত ফলাফল দিবেন তখনি যখন ওই সিমের ব্যবহারকারী ট্রুকলার অ্যাপস ব্যবহার করবে।
এই পদ্ধতিটা বেশ অকার্যকর বটে। তবে যদি কোন ভাবে সিমের ব্যবহারকারী truecaller apps ব্যবহার করে থাকে তাহলে আপনি সেই ব্যবহারকারী সম্পর্কে অর্থাৎ সেই সিমের মালিক সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য জানতে পারবেন।
Truecaller Apps দিয়ে সিমের মালিকানা বের করার পদ্ধতি
সিম নাম্বার কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা কিভাবে জানবো: এ পদ্ধতিটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে ট্রুকলার এন্ড্রয়েড অ্যাপটি ইন্সটল করে নিতে হবে।
আপনি গুগল প্লে স্টোর ব্যবহার করে এই অ্যাপসটি ইন্সটল করে নিবেন। গুগল প্লে স্টোর এর অ্যাপস লিংক: Truecaller Apps
করার পর আপনি যেকোনো অপরিচিত নাম্বার থেকে আশা ফোন কলের নাম ঠিকানা সবগুলো দেখতে পাবেন।
আপনার ফোনেও যদি সেই নাম্বারের মালিকের নাম সেভ করা থাকে তবুও ট্রুকলার অ্যাপসটি, এই নাম্বারের সত্যিকারের মালিকের নাম আপনার স্ক্রিনে প্রদর্শন করবে।
এখন ট্রিকস খাটিয়ে আপনি যে নাম্বারের মালিকের নাম খুঁজতে চান সেই নাম্বার থেকে আপনার ফোনে একটি কল করুন। কল করলেই আপনার ফোনে ঐ ব্যক্তির সকল তথ্য আপনার কাছে প্রদর্শিত হবে।
এগুলোই মূলত মোটামুটি কার্যকর কয়েকটি পদ্ধতি, যা দিয়ে আপনি সহজেই কোন সিমের মালিকের তথ্য বের করতে পারবেন।
আর একটা কথা হচ্ছে, আপনি যদি কোন সিমের সত্যিকারের মালিক কে খুঁজতে যান তাহলে সাধারণ এন্টার ব্যবহারকারী হিসেবে আপনার কাছে খুব বেশি একটা সুবিধা নেই। এটা অসম্ভব বলা চলে। তবুও ট্রিক্স খাটিয়ে করা যায়।
আর কাস্টমার কেয়ারে গেলে তারা আপনাদেরকে হেল্প করতে পারবেন। এছাড়া কারো কারো নিজস্ব লোক সিম কোম্পানিতে কাজ করে, ব্যক্তিগত খাতিরে তারা যেকোনো সিমের তথ্য দেওয়া নেওয়া করতে পারেন । এটা তাদের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।
Trucaller এর বৈশিষ্ট্যগুলো
- Cost free: Truecaller app টি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এটি দিয়ে অন্য যে কোন সিমের মালিকের তথ্য বের করা যায়।
- Information: এই অ্যাপসটি যদি আপনার ফোনে ইন্সটল থাকে তাহলে আপনাকে যারা কল করবে তাদের লোকেশন, সিম কোম্পানির নাম, ওই ব্যক্তির ইমেইল আইডি ইত্যাদি আপনার ফোনে প্রদর্শিত হবে।
- Security: এটি ইন্সটল থাকলে আপনি খুব সহজেই স্প্যামিং কল গুলো ধরতে পারবেন। অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসলেই এটি আপনাকে জানিয়ে দেবে এটি কোন নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে কল এসেছে নাকি ফেক কল।
যখন আপনি এই বিষয়টি ধরতে পারবেন তখন আপনি চাইলে কলটি ধরতেও পারেন আবার কেটেও দিতে পারেন।
সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা আছে জানার উপায়
সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা কিভাবে জানবো এই বিষয়ে আজকের আর্টিকেলটি আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
যদি কোথাও কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আরও কোন কিছু জানার থাকলে অবশ্যই জিজ্ঞেস করতে ভুলবেন না।
আর এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার বন্ধুদের সাথে এটি শেয়ার করবেন।
অবশ্যই পড়ুন –