জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান পদ্ধতি (NID card verification process in Bangla):
আজকাল তো অহরহ ভুয়া আইডি কার্ড তৈরি করা যায়। আইডি কার্ড ভুয়া নাকি সত্য তা বের করার জন্যে আইডি কার্ড অনুসন্ধান এর মাধ্যমে এর সত্যতা যাচাই করা হয়।
এছাড়াও নতুন ভোটারদের জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান করার প্রয়োজন পড়ে। টোকেন দিয়ে প্রায় সকলে এ কাজটি করতে পারবে। অনুসন্ধান পদ্ধতি জানার জন্যে এই আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত থাকুন।
অবশ্যই পড়ুন – টোকেন দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
আইডি কার্ড অনুসন্ধানের বেশ কয়েকটি পদ্ধতি আছে।
নির্বাচন কমিশনের সরকারী ওয়েবসাইটে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসন্ধান করা সম্ভব এবং সাথে সাথে সেই আইডি কার্ড ডাউনলোড করা সম্ভব।
রিলেটেড – অনলাইন থেকে আপনার এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করুন মাত্র ৫ মিনিটে
তবে এই প্রোসেসে একটু সময় লাগে। তবুও আমি দেখিয়ে দেবো। আর ভুয়া আইডি কার্ড হলে আপনি এমনিতেই বুঝতে পাবেন।
এরপর আপনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট তথা ভূমির ট্যাক্স ট্যাক্স সম্পর্কিত ওয়েবসাইটে গিয়েও আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসন্ধান করতে পারেন। এ পদ্ধতিটি সবচেয়ে সহজ আমি মনে করি।
এছাড়াও আপনি এসএমএস এর মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করতে পারেন।
বিশেষ করে যারা নতুন ভোটার তারা এসএমএস করেই এ কাজটি করতে পারেন। এই এসএমএস সম্পূর্ণ ফ্রিতে পাঠানো যায় এবং এ পদ্ধতিতে বাকি সব পদ্ধতির মতো টাকা খরচ হয় না।
পুরাতন ভোটাররাও এখানে তাদের আইডি কার্ড যাচাই করতে পারবেন।
কোনো Nid card যাচাই করার জন্যে যা যা তথ্য লাগবে:
- জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর(NID number)
- জন্ম তারিখ (Birthday)
এসএমএস এর মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান
আপনি যদি নতুন ভোটার হয়ে থাকেন কিন্তু এখনো আইডি কার্ড পাননি, তাহলে আর্টিকেলের এই অংশ আপনার জন্য।
যদি নিজেকে নিশ্চিত করতে চান, যে আপনি ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন কি না? তাহলে এ কাজটি এসএমএস পাঠানোর মাধ্যমে করা যায়।
এসএমএস এর মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করার জন্য যা যা লাগবে।
- টোকেন (ভোটার নিবন্ধন ফর্মের ফরম নাম্বার যুক্ত ছোট্ট অংশটুকু)
- জন্ম তারিখ
টোকেন কোনটা: আপনি যখন ভোটার নিবন্ধন ফরম পূরণ করেছিলেন তখন সেই ফরমের নিচের অংশ আপনাকে ছিড়ে দেওয়া হয়েছিলো। অনেকক্ষেত্রে ছবি তোলার অনেক আগেই এই টোকেন নামক ছোট্ট কাগজটি দিয়ে দেয়া হয়।
আবার অনেক ক্ষেত্রে ছবি তোলার ঠিক আগ মুহূর্তে এটি আপনার হাতে দেয়া হয়। নিচের ছবিটি লক্ষ্য করুন।
টোকেন দেখতে ঠিক এরকম। যদিও এর শুদ্ধ নাম টোকেন না। মানুষকে সহজ করে বুঝানোর স্বার্থে এরকম বলা হয়।
জন্ম তারিখ কোনটা: সহজ কথায় আপনি ভোটার নিবন্ধন ফরমে যে জন্ম তারিখ দিয়েছিলেন ঠিক সেই জন্ম তারিখ লাগবে, এসএমএস এর জন্যে।
অনেকের আবার খেয়াল হারিয়ে যায়। মনে না থাকলে করণীয় কি?
এজন্য আপনাকে আপনার সার্টিফিকেট খুজতে হবে। সার্টিফিকেট যে জন্ম তারিখ দেয়া হয়েছে ভোটার নিবন্ধন ফরমেও ঠিক সে জন্ম তারিখ ব্যাবহার করা হয়।
আর যদি আপনার সার্টিফিকেট না থাকে তাহলে আপনার বা যার এনআইডি কার্ড অনুসন্ধান করতে চান তার জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট খুজুন। জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট থেকে জন্ম তারিখটি এসএমএস এ ব্যাবহার করুন।
#এসএমএস পাঠানোর পদ্ধতি | জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান
প্রথমে আপনি আপনার ফোনের এসএমএস অপশনে যান। সেখানে টাইপ করুন NID <space> Form Number <space> date-month-year
টাইপ করে পাঠিয়ে দিন 105 এই নাম্বারে। উহাররণ স্বরূপ: NID 12131476 01-05-2000
এখানে প্রথমে NID টাইপ করেছি। তারপর টোকেন থেকে ফরম নাম্বার তুলেছি। শেষে জন্ম তারিখ তুলেছি। তবে আগে date, এরপর যথাক্রমে month আর year দিয়ে মাঝখানে হাইফেন ইউজ করেছি।
বি.দ্র: [এই পদ্ধতিটি অনেকের কাছে অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে যদি এসএমএস করে রিপ্লাই পান তো ভালো আর যদি রিপ্লাই না পান তাহলে এই আর্টিকেলের তিন নাম্বার পদ্ধতিটি ফলো করুন, ১০০% কাজে দিবে। চিন্তার কোনো কারণ নেই ]
আরও পড়ুন –
- ফরম নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
- অনলাইনে নতুন আইডি কার্ড দেখার নিয়ম
অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান
জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধানের প্রথম পদ্ধতিতে আমরা ভূমি মন্ত্রণালয়ের ট্যাক্স সম্পর্কিত ওয়েবসাইট ভিজিট করবো। আমার দেখা সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি এটি।
প্রথমে আপনার ফোনের যেকোনো ব্রাউজারের সার্চ বারে সার্চ দিন landtax gov bd।
এরপর প্রথমে যে ওয়েবসাইট টি পাবেন সেখানে প্রবেশ করুন।অথবা সরাসরি এই লিংকে প্রবেশ করুন: ldtax.gov.bd
এখানে আপনাকে “অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর” এ ক্লিক করতে হবে। এই অপশনটি একটু নিচের দিকে পাবেন, হয়রান হওয়ার কোনো কারণ নেই।
লাল চিহ্নিত বাটনে ক্লিক করলে আপনি নিচের মতো একটি স্ক্রিন দেখতে পাবেন যেখানে আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ও জন্ম তারিখ পূরণ করতে হবে।
এখানে প্রথম ঘরটিতে আপনি যেকোনো একটি মোবাইল নাম্বার প্রবেশ করাবেন। এখানে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যে কারো নাম্বার দিতে পারেন।
দ্বিতীয়ত, আপনি যে আইডি কার্ডটি যাচাই করতে চান সেটির আইডি নাম্বার ঐ ঘরে প্রবেশ করাবেন।
শেষের ঘরটিতে জন্ম তারিখ বসাবেন। ক্যালেন্ডার ওপেন করে জন্ম তারিখ ঠিকমতো বসাবেন অবশ্যই।প্রথমে দিন, এরপর মাস এবং সর্বশেষ বছর।
এরপরে “পরবর্তী পদক্ষেপ” বাটনে ক্লিক করবেন।ক্লিক করলে নিচের মতো স্ক্রিন ওপেন হবে।
এখানে আপনি ভোটারের সকল তথ্য দেখতে পাবেন। যদি সেই ভোটার ভুয়া না হয় তাহলেই কেবল আপনি এ যায়গায় তথ্যগুলো পাবেন। আর ভুয়া ভোটার হলে আপনি কখনোই এইখানে এসব তথ্য পাবেন না।
ধরেন, আপনি কোনো ভোটার আইডি কার্ড যাচাই করতে চান। এই ওয়েবসাইটে এসে ভোটার আইডি নাম্বার দিলেন, এরপর ঐ আইডি কার্ড থেকে জন্ম তারিখটাও তুলে দিলেন সাথে একটা নাম্বার ও দিলেন। এসব করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করলেন।
এভাবে যদি বিস্তারিত তথ্য আসে তাহলে বুঝবেন আসলে আইডি কার্ড ঠিক আছে। এটা ফেক না।
বর্তমানে যেহেতু ফেক আইডি কার্ড অনেক বের হইছে তাই এই পদ্ধতিতে আইডি কার্ড যাচাই করা যায়। এখানে সুবিধা হলো ঐ ভোটারের পিতা মাতার নাম, ঐ ভোটারের ছবি সহ দেখা যায়।
তবে ছবি দেখার জন্যে একটু সময় নিবেন ফলাফল পেজে লোড নেওয়ার জন্য একটু আওময় দিবেন। ছবিটা একটু দেরিতে আসে যদি নেট খারাপ থাকে।
অবশ্যই পড়ুন – ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম
এটাতো শুধুমাত্র যাচাই করার পদ্ধতি। নতুন ভোটাররা চাইলে তাদের আইডি কার্ড হয়েছে কি না তা চেক করে নিতে পারেন। পরের অংশে এ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত বলছি।
জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই পদ্ধতি
এটি আমার এই আর্টিকেলের তৃতীয় পদ্ধতি।
নতুন পুরাতন সকল ভোটার এই পদ্ধতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই ও অনুসন্ধান করতে পারেন।
নতুন ভোটাররা যদি এসএমএস এর মাধ্যমে জানতে না পারেন তাহলে নিচের পদ্ধতিতে আপনারা নিশ্চই অবগত হতে পারবেন আসলেই কি আপনাদের ভোটার আইডি কার্ড হয়েছে কি না?
আর পুরাতন কোনো আইডি কার্ড এর সত্যতা যাচাই করতে চাইলে এই ওয়েবসাইটটি হবে সবচেয়ে নিরাপদ।এটি নির্বাচন কমিশনের সরকারী ওয়েবসাইট যেখানে আপনি নির্ভুলভাবে যাচাই করতে পারবেন।
নতুন ভোটাররা জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান করার পর তা ডাউনলোড করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। যাচাই করার পর যদি আইডি কার্ডের সত্যতা নিশ্চিত হয় তাহলে আরো কয়েল ধাপ অতিক্রম করে খুব আইডি কার্ডটি ডাউনলোড করা সম্ভব।
আইডি কার্ড মূলত Pdf ফাইলে ডাউনলোড হয়। এরপর এটি কোনো কম্পিউটার এর দ্যকানে প্রিন্ট করে নিলেই এটা হয়ে গেলো জেনুউইন একটা আইডি কার্ড। এখন আপনাকে আর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে কষ্ট করে নতুন আইডি কার্ড তুলতে হচ্ছে না।
#যাচাই এবং ডাউনলোড করার জন্যে যা যা লাগবে ?
- নতুন ভোটার হলে ফরম নাম্বার
- পুরাতন ভোটার হলে জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার
- জন্ম তারিখ
- যেকোনো একটি ফোন নাম্বার।
ধাপ-১: জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান পদ্ধতি
যেকোনো একটি ফোনের ব্রাউজারে ঢুকুন। এবং ইন্টারনেট কানেকশন লাগিয়ে সার্চ করুন services nidw gov bd ।এবং প্রথম ওয়েবসাইট এ ঢুকে পড়ুন।
অথবা আপনি এই লিংক থেকে সরাসরি প্রবেশ করতে পারবেন: এনআইডি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন
এই লিংকে ঢুকে আপনি রেজিস্টার করুন নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করবেন।
এরপর আপনাকে NID Number বা ফরম নাম্বার, জন্ম তারিখ ও ক্যাপচা পূরণ করতে হবে।
আপনি যদি পুরাতন ভোটার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি NID Number দিবেন। আর নতুন ভোটার হলে ফরম নাম্বার দিবেন তারা। এছাড়াও এই ধাপে যেকোনো NID Card যাচাই করা যায়।
প্রথম বক্সে উপরের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী পূরণ করা হবে।এরপরের বক্সে জন্ম তারিখ উঠাবেন এবং শেষে ক্যাপচা পূরণ করবেন।
#ক্যাপচা কি? কিভাবে এটি পূরণ করবো?
এটি মূলত একটি কোড। যা আবছা আবছা ভাবে লেখা থাকে স্ক্রিনে। ভেরিফাই করার জন্যে এরূপ করা হয় যে আসলে আপনি হিউম্যান নাকি রোবট।
তো আবছা আবছা যে কোডটি স্ক্রিনের ক্যাপচা অংশে দেখা যাচ্ছে সেটা তার নিচের ঘরে হুবহু কিবোর্ডে টাইপ করে তুলে দিবেন। ব্যাস হয়ে গেলো ক্যাপচা পূরণ।
ঘরগুলো পূরণ হলে এরপর আপনি সাবমিট বাটনে ক্লিক করবেন।
আপনার দেয়া আইডি কার্ডটি যদি সঠিক না হয় তাহলে আপনি পরবর্তী পেজে যেতে পাবেন না। আপনি নিচের মতো একটা মেসেজ দেখতে পাবেন।
সাবমিট বাটনে ক্লিক করার পরেও পরবর্তী পেজে না গিয়ে আপনাকে এরকম একটি পেজ দেখানো হবে। এর অর্থ আপনার দেয়া জাতীয় পরিচয় পত্র টি ঠিক না। অথবা নতুন ভোটারের ক্ষেত্রে আপনার ভোটার তালিকা এখনো আপগ্রেড করা হয়নি।
আর যদি আপনার আইডি কার্ডটি রাইট হয় তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা যোগ করতে বলবে।
আর ভুয়া আইডি কার্ড বা নতুন ভোটারদের ক্ষেরে হালনাগাদ সম্পন্ন না হলে উপরের স্ক্রিনশটগুলোর মতো মেসেজ দেখতে পাবেন।
#আইডি কার্ডের সত্যতা থাকলে এর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ও এটি ডাউনলোড করবেন যেভাবে ?
যখন একটি আইডি কার্ড সত্য প্রমাণিত হবে তখন এর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেখতে চান অনেকেই। আবার অনেকেই এটি ডাউনলোড করে নিতে চান। তারা আর্টিকেলের বাকি ধাপগুলো অনুসরণ করুন
ধাপ-২: বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা পূরণ
ধাপ-১ এ ফরম নাম্বার বা জাতীয় পরিচয় পতে নাম্বার, জন্ম তারিখ, ক্যাপচা পূরণ করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করার পর একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে। যেখানে আপনাকে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা পূরণ করতে হবে।
এখানে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা পূরণ করবেন । যে ব্যাস্তি আইডি কার্ড দিয়ে কাজগুলো চালু করেছেন তার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা ব্যাবহার করবেন।
আর নতুন ভোটাররা একই নিয়ম অনুসরণ করবে। কিন্তু কেউ যদি আইডি কার্ড তৈরি করার সময় বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা আলাদা দিয়ে থাকে তাহলে এখানেও আলাদা আলাদা ব্যাবহার করতে হবে। এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ-৩: এসএমএস ভ্যারিফিকেশন
এখানে আপনি আপনার একটি সচল নাম্বার ব্যাবহার করবেন। কোনো বাধ্যবাদকতা নেই যে ভোটার নিবন্ধন ফরমে যে নাম্বার ব্যাবহার করেছেন এখানেও সেই নাম্বার ব্যাবহার করতে হবে।
এক মিনিটের ভেতর OTP আসবে। কোডটি বসিয়ে বহাল বাটনে ক্লিক করবেন।
অনেকের সমস্যা এসএমএস আসেনা। এটি মুলত দূটি কারণে হয়। সিমে নেট না থাকলে অথবা সার্ভার জ্যাম থাকলে।
আপনি যে সিমে OTP আনবেন সেটি ভালো নেটওয়ার্কের
যায়গায় রেখে দিবেন। এরপরেও যদি মেসেজ না আসে তাহলে বুঝবেন সার্ভার জ্যাম। সার্ভার জ্যাম থাকলে কিচ্ছু করার নাই। আপনাকে একটু পর আবার ট্রাই করতে হবে। তবে সমস্যা হলো একবার প্রোসেস থেকে বের হয়ে গেলে আবার নতুন করে প্রথমে ধাপ থেকে সবকিছু অনুসরণ করতে হবে।
ধাপ-৩: ফেস ভেরিফিকেশন
মোবাইল অথবা কম্পিউটার দিয়ে কাজ করলে ফেস ফেরিফিকেশন পদ্ধতি ভিন্ন হয়।
কম্পিউটার দিয়ে ফেস ভেরিফিকেশিন: ধাপগুলোর মধ্যে এইটি একটি কঠিন ধাপ। ফেস ভেরিফিকেশন দুই ধাপে সম্পন্ন হয়।
আপনি যদি কম্পিউটার ব্যাবহার করে এই কাজগুলো করেন তাহলে আপনাকে QR code দিয়ে ফেস ভেরিফাই করতে বলবে।
এমনি মোবাইল দিয়েও QR code ফেরিফাই করতে বলবে যদি ব্রাউজারে Desktop version অন করা থাকে।
QR code টি স্ক্যান করার জন্যে এবং ফেস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করার জন্যে গুগল প্লে স্টোর থেকে NID Wallet App টি ডাউনলোড করে নিন।
অথবা গুগল প্লে স্টোরে “nid wallet” লিখে সার্চ দিলে আপনি আপ্স টি পেয়ে যাবেন।
যেহেতু আপনি কম্পিউটার দিয়ে কাজ করছেন তাই আপনার কম্পিউটারে স্বভাবতই ক্যামেরা থাকবে না। তাই ফেস ভ্যারিফাই করার জন্যে আলাদা একটি মোবাইল লাগবে।
সেই মোবাইলে nid wallet ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন। এরপর এটি ওপেন করে ভাষা সিলেক্ট ক্ক্রে নিন এবং এরপর ক্যামেরা পারমিশন দিন।
nid wallet এপ্সে QR code স্ক্যান করার জন্যে ক্যামেরা ওপেন হবে। এরপর ক্যামেরাটি আপনার কম্পিউটার এর সামনে কিউয়ার কোড এর সামনে ধরুন। স্কান না হলে কোডটি জুম করে নিন।
স্কান হয়ে গেলে start face scan অপশন পাবেন।সেখানে ক্লিক করে ফেস স্কান করে নিবেন।
স্কান করার সময় প্রথমে ফেসের সামনের অংশ, তারপর ডান অংশ কান সহ ক্যামেরা সামনে ধরবেন, শেষে ফেসের বাম অংশ কান সহ ক্যামেরার সামনে দেখাবেন। একটি অংশ হয়ে গেলে টিক চিহ্ন দেখতে পবেন।
ফেস ফেরিফিকেশন হয়ে গেলে কম্পিউটার বা মোবাইলের ডেক্সটপ ভার্সন অটোমেটিক লোড নিবে। এবং পরবর্তী পেজে নিয়ে যাবে।
মোবাইল দিয়ে ফেস ভেরিফিকেশন:
মোবাইল দিয়ে ফেস ভেরিফাই করতে চাইলে আলাদা কোনো ডিভাইস লাগে না । মোবাইলে NID wallet apps টি ইনস্টল করে নিন আগে, প্লে স্টোর ত্থেক।
এরপর এই লাল বড় বাটনে ক্লিক করে ফেস ভেরিফাই করে নিন। ফেস ভেরিফাই করার পদ্ধতি উপরের অংশে বলে দিয়েছি।
ফেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে আবার ব্রাউজারে এই পেজে ফিরে আসুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। পেজটা নিজে থেকে রিলোড না হলে আলতো করে পেজটা রিলোড দিন।
অর্থাৎ উপর থেকে টেনে একটি নিচে ছেড়ে দিন তাহলে রিলোড শুরু হবে। রিলোড হলে পরবর্তী ধাপে পাসওয়ার্ড সেট করতে বলবে।
ধাপ-৪: সেট পাসওয়ার্ড
এখানে আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড সেট করতে বলবে। পাসওয়ার্ড সেট করা হয় মূলত ঝামেলা থেকে বাচার জন্যে।
আপনি যদি পরবর্তীতে আবার এখান থেকে আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চান তাহলে ফেস ভেরিফাই আর করতে হবে না। তখন লগিন অপশনে ক্লিক করেই আপনি সরাসরি আইডি কার্ডটি ডাউনলোড করতে পারবেন।
পাসওয়ার্ড সেট করতে চাইলে পাসওয়ার্ড সেট করে নিবেন। আর নাহলে এড়িয়ে যান বাটনে ক্লিক করবেন। এবং মূল পেজে প্রবেশ করবেন
ধাপ-৫: বিস্তারিত তথ্য ও NID Card Download
এখানে আপনি ছবি সহ সকল বিস্তারিত তথ্য দেখতে পাচ্ছেন। ছবির নিচে আপনি ব্যাক্তির সকল ডিটেইল পাবেন।
এবং ডান দিকে ডাউনলোড অপশন দেখতে পাচ্ছেন। ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে আপনার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পাবেন।
ব্যাস হয়ে গেলো আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান ও ডাউনলোড সমস্যার সমাধান। ভুয়া ভোটার বা নতুন কোনো ভোটার যার আইডি কার্ড এখনো হালনাগাদ হয় নি তারা কখনোই সবগুলো ধাপ সম্পন করতে পাবে না।
অবশ্যই পড়ুন –
- অনলাইনে এবং অফলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার নিয়ম জেনেনিন
- এনআইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করতে কি কি লাগে
- ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
- জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফরম ডাউনলোড করুন
- ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে
জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান: FAQ’s
প্রথমে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে যেতে হবে। আইডি নাম্বার আর জন্ম তারিখ পেস্ট করে দিয়ে verify বাটনে ক্লিক করলে বুঝতে পাবেন আসলেই এটা ভুয়া
চেক করার অনেক নিয়ম আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে যাওয়া। আমি এই আর্টিকেলে বিস্তারিত বলে দিয়েছি। পুরো আর্টিকেলটি ভালো করে পড়ুন। আর যারা নতুন ভোটার তারা services.nidw.gov.bd এই ওয়েবসাইট থেকে চেক করব নিবেন।আমি বিস্তারিত কন্টেন্ট এ বলে দিয়েছি।
মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করার আলাদা কোনো নিয়ম নেই। তবে এসএমএস এর মাধ্যমে চেক করা যায়। এসএমএস পাঠান ১০৫ এই নাম্বারে, NID>space>form number/Nid number>date-month-year
চেক করার জন্যে শুধু মাত্র ফরম নাম্বার(নতুন ভোটার হলে) অথবা এনআইডি নাম্বার (পুরাতন ভোটার হলে)। এর সাথে জন্ম তারিখ।
উপসংহার
আমাদের জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান কন্টেন্টটি কেমন লাগলো? কমেন্ট করে জানাবেন। আমি বিস্তারিত ভাবে বলেছি যতটুকু পারি। কোনো অংশ বুঝতে সমস্যা হলে অবশ্যই জানাবেন।
ভোটার তথ্য (NID Service) রিলেটেড সকল গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।