ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে অথবা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি কত টাকা এই বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। How much is the NID correction fee?
আপনি কি জানেন জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি কত টাকা? জানলেও হয়তো সম্পূর্ণ তথ্য জানেন না। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আবেদন করার আগে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে কত টাকা লাগে সে বিষয়ে আপনার সঠিক ধারণা থাকা দরকার।
ভোটার আইডি কার্ডের কিছু কিছু তথ্য সংশোধনের জন্য ২৩০ টাকা সরকারি ফি জমা দিতে হয়। আবার কিছু কিছু তথ্য সংশোধনের জন্য ১১৫ টাকা সরকারি ফি জমা দিতে হয়। আবার কখনো কখনো এনআইডি সংশোধন ফি (NID Correction Fee) ৩৪৫ টাকা এবং ৪৬০ টাকা জমা দিতে হয় ভ্যাটসহ।
আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি কত টাকা পরিশোধ করবেন এবং কিভাবে পরিশোধ করবেন এই বিষয়ে আপনি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
তার আগে চলুন ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে সংক্ষেপে ধারণা নেওয়া যাক। তাহলে আপনাদের এনআইডি কার্ডের বিভিন্ন তথ্য সংশোধন বা পরিবর্তন, সংশোধন ফি এবং কিভাবে ফি জমা দিবেন এইসব বিষয়ে সহজেই বুঝতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে সংশোধন করবেন ?
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে এ বিষয়ে নিচে আমি আপনাদের বিস্তারিত বলে দিবো।
তার আগে আপনার ভোটার আইডি কার্ডে থাকা ভুল তথ্য কিভাবে পরিবর্তন করবেন অথবা কিভাবে এনআইডি কার্ডে নতুন তথ্য সংযোজনের জন্য আবেদন করবেন এই বিষয়ে নিচে কয়েকটি ধাপে বর্ণনা করা হয়েছে।
১. এনআইডি ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করুন
আমরা প্রত্যেকেই জানি, অনলাইনে এনআইডি কার্ড রিলেটেড যেকোন সেবা পাওয়ার জন্য আমাদের services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে একটি একাউন্ট নিবন্ধন করতে হয়।
তাই আপনার এনআইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্রের বিভিন্ন তথ্য পরিবর্তন / সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনাকে এই ওয়েবসাইটে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে।
Nidw ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খোলার কয়েকটি স্টেপ রয়েছে। সেগুলো হলো –
- প্রথমে এই লিংকে ভিজিট করতে হবে। Account Registration
- জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা ফর্ম নম্বর, জন্ম তারিখ এবং সিকিউরিটি ক্যাপচা পূরণ করে সাবমিট করতে হবে।
- সঠিক বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করতে হবে।
- SMS এ যাওয়া OTP কোডের মাধ্যমে মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন করতে হবে।
- NID Wallet অ্যাপের সাহায্যে ফেস ভেরিফিকেশন (face verification) করতে হবে।
- অ্যাকাউন্ট এর ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে।
- সবশেষে অ্যাকাউন্ট ড্যাশবোর্ডে নিয়ে যাওয়া
হবে।
২. প্রোফাইল থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য এডিট করুন
অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার পর Dashboard থেকে প্রোফাইলে প্রবেশ করতে হবে। এরপর এখান থেকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রত্যেকটি তথ্য এডিট / সম্পাদনা করতে পারবেন।
এখানে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য (ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য অথবা উভয় ধরনের তথ্য) এডিট করতে হবে। তারপর আপনার পরিবর্তন করা তথ্য সঠিক আছে কিনা তা যাচাই করে নিশ্চিত করতে হবে।
৩. জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি জমা দিন
আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের ধরন অনুযায়ী আপনাকে একটা ফি পরিশোধ করতে হবে। আপনি বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস যেমন – বিকাশ, নগদ বা রকেটের মাধ্যমে NID Info Correction Fee পরিশোধ করতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের তিনটি ধরন রয়েছে। যেমন – ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন, অন্যান্য তথ্য সংশোধন এবং উভয় তথ্য সংশোধন। এগুলোর মধ্যে আপনি কোন ধরনের তথ্য সংশোধন করবেন তার উপর নির্ধারিত হবে আপনার এনআইডি সংশোধন ফি।
ভোটার আইডি কার্ডের কোন কোন তথ্য সংশোধনের জন্য কত টাকা ফি প্রদান করতে হবে সে বিষয়ে একটু পরেই আমি আপনাদের বিস্তারিত জানিয়ে দিবো।
৪. প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র আপলোড করুন
ফি পরিশোধ হয়ে গেলে আপনার সংশোধনের সাথে সম্পর্কিত প্রমাণপত্র বা ডকুমেন্টস বা সত্যায়িত কাগজপত্র আপনাকে আপলোড করতে হবে।
অর্থাৎ আপনি কোন একটি তথ্য পরিবর্তন করে সেই জায়গায় নতুন যে তথ্যটি দিবেন, আপনার দেওয়া নতুন এই তথ্যটি যে সঠিক তা প্রমাণ করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু কাগজপত্রের ছবি বা স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে।
এছাড়া আপনার সংশোধনের আবেদন বাতিল হয়ে যেতে পারে।
৫. আবেদনপত্র ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করুন
আবেদন সাবমিট (submit) করার পর আপনার আবেদন ফরমটি পিডিএফ (PDF) আকারে পেয়ে যাবেন। এটি আপনাকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে।
আবেদনটি অনুমোদন হয়ে গেলে মোবাইলে একটি এসএমএস পাবেন। এরপর আপনার সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।
অথবা আপনি চাইলে প্রিন্ট করা আবেদনপত্র এবং পুরাতন এনআইডি কার্ডটি নিয়ে আপনার নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে সংশোধিত আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
অবশ্যই পড়ুন –
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে ?
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে তিনটি ধাপের জন্য আলাদা আলাদা ফি নির্ধারিত রয়েছে।
জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড এর তথ্যগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি তথ্য সংশোধন করতে চাইলে ১৫% ভ্যাটসহ প্রথমবার আবেদনের জন্য ২৩০ টাকা, দ্বিতীয়বার ৩৪৫ টাকা এবং পরবর্তীতে যতবার সংশোধনের আবেদন করবেন ৪৬০ টাকা ফি দিতে হবে।
বিকাশ, রকেট বা নগদের মাধ্যমে এই ফি পরিশোধ করা যায়।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি তালিকা
জাতীয় পরিচয়পত্রের কোন ধরনের তথ্য পরিবর্তন করতে কত টাকা ফি দিতে হয় তা জানতে নিচের তালিকাটি দেখুন।
সংশোধনের ধরন | সংশোধন ফি | ১৫% ভ্যাট | মোট সংশোধন ফি |
---|---|---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন | ২০০ টাকা | ৩০ টাকা | ২৩০ টাকা |
উভয় তথ্য সংশোধন | ১০০ টাকা | ১৫ টাকা | ১১৫ টাকা |
অন্যান্য তথ্য সংশোধন | ৩০০ টাকা | ৪৫ টাকা | ৩৪৫ টাকা |
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে কত টাকা লাগে ?
উপরে দেওয়া তালিকার মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন যে, জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধনের জন্য ২৩০ টাকা, অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য ১১৫ টাকা এবং উভয় ধরনের তথ্য সংশোধনের জন্য ৩৪৫ টাকা ফি জমা দিতে হবে।
এখন কোন তথ্যগুলো ব্যক্তিগত তথ্যের আওতায় পড়ে এবং কোন তথ্যগুলো অন্যান্য তথ্যের আওয়ায় পড়ে এই বিষয়ে আপনার ভালোভাবে জেনে নেওয়া দরকার।
এটা বুঝতে পারলে আপনি যে তথ্যটি সংশোধন করতে করতে চাচ্ছেন সেটা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন ক্যাটাগরিতে পড়ে নাকি অন্যান্য তথ্যের ক্যাটাগরিতে পড়ে এটা নিশ্চিত হতে পারবেন। এর পাশাপাশি আপনাকে সেই তথ্য সংশোধনের জন্য কত টাকা ফি প্রদান করতে সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে যাবেন।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি ২৩০ টাকা কখন হয়
অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি ২৩০ টাকা জমা দেওয়া হলে আপনার এনআইডি কার্ডের যেসকল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন সেগুলো হলো –
- নিজের বাংলা নাম
- নিজের ইংরেজি নাম
- পিতার নাম
- মাতার নাম
- জন্ম তারিখ
- ছবি পরিবর্তন
- সাক্ষর পরিবর্তন
- রক্তের গ্রুপ সংযোজন বা পরিবর্তন
- NID Card এর পিছনে থাকা ঠিকানা যেমন – মৌজা, মহল্লা, গ্রাম, বাসা / হোল্ডিং নম্বর, ডাকঘর, পোস্ট কোড, জন্ম স্থান সংশোধন ইত্যাদি।
এগুলো হচ্ছে ব্যক্তিগত তথ্য।
এনআইডি কার্ডের এই সকল তথ্যের মধ্যে যেকোন একটি তথ্য সংশোধন করলেও ২৩০ টাকা সরকারি ফি জমা দিতে হবে। আবার সবগুলো তথ্য একটি আবেদনে উল্লেখ করে দিয়ে সংশোধনের আবেদন করলেও আপনাকে ২৩০ টাকা জমা দিতে হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি ৩৪৫ টাকা এবং ৪৬০ কখন হয়
মনে করুন, আপনার এনআইডি কার্ডে কোন তথ্য ভুল থাকার কারণে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি ২৩০ টাকা জমা দিয়ে আবেদন করলেন এবং ভুল সংশোধন হওয়ার পর নতুন একটি এনআইডি কার্ড পেলেন।
নতুন এনআইডি হাতে পেয়ে দেখেন সেখানে আরও একটি ভুল রয়ে গেছে, যা সংশোধনের আবেদন করার সময় উল্লেখ করেননি। এটা সংশোধনের জন্য পূনরায় আপনাকে আবেদন করতে হবে এবং এক্ষেত্রে এনআইডি সংশোধন ফি ৩৪৫ টাকা জমা দিতে হবে।
ধরুন আবার ৩৪৫ টাকা এনআইডি সংশোধন ফি জমা দিয়ে আবেদন করলেন এবং নতুন এনআইডি কার্ড পেলেন, এনআইডি কার্ড পাওয়ার পর দেখলেন সেখানে আরও একটা ভুল থেকে গেছে। এরপর আরও যদি এটা সংশোধনের জন্য আবেদন করেন, এক্ষেত্রে আপনার সংশোধন ফি আসবে ৪৬০ টাকা ভ্যাটসহ।
অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ডে নিজের নাম, পিতা / মাতার নাম, জন্ম তারিখ, ছবি / সাক্ষর পরিবর্তন, রক্তের গ্রুপ সংযোজন / পরিবর্তন, ঠিকানা পরিবর্তন ইত্যাদির জন্য প্রথমবার আবেদন করে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে ২৩০ টাকা ফি জমা দিতে হবে।
দ্বিতীয়বার আবেদন করলে ৩৪৫ টাকা জমা দিতে হবে এবং তৃতীয়বার আবেদন করলে Correction Fee ৪৬০ টাকা জমা দিতে হবে। এরপর প্রতিবার আবেদনের জন্য আপনাকে ৪৬০ টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি ১১৫ টাকা কখন হয়
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি ১১৫ টাকা প্রদান করা হলে যেসকল তথ্য সংশোধনের ফি আপনি আবেদন করতে পারবেন সেগুলো হলো –
- পাসপোর্ট নম্বর সংযোজন বা পরিবর্তন
- লিঙ্গ পরিবর্তন
- পিতা / মাতার NID Number সংযোজন বা পরিবর্তন
- পিতা / মাতার মৃত্যু সাল সংযোজন বা পরিবর্তন
- বৈবাহিক অবস্থা পরিবর্তন
- স্বামী / স্ত্রীর নাম ও এনআইডি নম্বর সংশোধন
- ধর্ম পরিবর্তন
- জন্ম নিবন্ধন সনদের নম্বর সংযোজন বা পরিবর্তন
- পেশা পরিবর্তন
- সনাক্তকরণ চিহ্ন সংযোজন / পরিবর্তন
- ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর সংযোজন / পরিবর্তন
- টিন নম্বর সংযোজন বা পরিবর্তন
- মোবাইল নম্বর সংযোজন বা পরিবর্তন
- শিক্ষাগত যোগ্যতা সংশোধন
- প্রতিবন্ধী কিনা সে
তথ্য সংশোধন
এগুলো হচ্ছে অন্যান্য তথ্য।
এনআইডি কার্ডের এই সকল তথ্যের মধ্যে যেকোন একটি তথ্য সংশোধন করলেও ১১৫ টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে। আবার সবগুলো তথ্য একটি আবেদনে উল্লেখ করে সাবমিট করলেও ১১৫ টাকা ফি জমা দিতে হবে।
এই সব তথ্য একবার সংশোধনের জন্য আবেদন করলে ১১৫ টাকা, দ্বিতীয় বার ২৩০ টাকা এবং তৃতীয় বারের জন্য ৩৪৫ টাকা ফি জমা দিতে হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য কত টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে এ বিষয়ে আশা করি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফি হিসাব করার নিয়ম | ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য কত টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে তা আপনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট Bangladesh NID Application System এর মাধ্যমে চেক করে নিতে পারবেন।
আপনার আইডি কার্ড এর আগে কখনো সংশোধন করা হয়েছে কিনা তার উপর ভিত্তি করে এই ওয়েবসাইটটি আপনার NID Correction এর জন্য ফি’র পরিমাণ দেখিয়ে দিবে।
- NID Card Correction Fee চেক করার জন্য প্রথমে এই লিংকে ক্লিক করুন।
- জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিন।
- আবেদনের ধরন সিলেক্ট করুন (ব্যক্তিগত / অন্যান্য / উভয়)।
- বিতরণের ধরন সিলেক্ট করুন (সাধারণ / স্মার্ট কার্ড)।
- সিকিউরিটি ক্যাপচা পূরণ করুন।
- হিসাব করুন বাটনে ক্লিক করুন।
এভাবে আপনার এনআইডি তথ্য সংশোধন ফি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হিসাব করতে পারবেন।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি জমা দেওয়ার নিয়ম
আমি আগেই বলেছি, আপনারা বিকাশ, রকেট কিংবা নগদের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ডের সংশোধন ফি পরিশোধ করতে পারবেন। এই প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ।
যেহেতু বিকাশ লোকদের কাছে অধিক জনপ্রিয় তাই নিচে বিকাশের মাধ্যমে আইডি কার্ড সংশোধন ফি জমা দেওয়ার নিয়ম দেখানো হয়েছে।
- প্রথমে আপনার bKash account এ লগিন করুন।
- হোমপেজ থেকে পে বিল (Pay bill) অপশনে যান।
- NID Service সরকারি ফি তে ক্লিক করুন।
- আবেদনের ধরন সিলেক্ট করুন।
- এনআইডি নম্বর লিখুন।
- পে বিল করতে এগিয়ে যান -এ ক্লিক করুন।
- কত টাকা পে করতে হবে সেটা অটোমেটিক দেওয়া থাকবে।
- এরপর আপনার বিকাশ পিন কোড দিয়ে পেমেন্ট করে দিন।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে FAQs
ভোটার আইডি কার্ডের ব্যক্তিগত তথ্যসমূহ সংশোধনের জন্য ২৩০ টাকা, অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য ১১৫ টাকা এবং উভয় ধরনের তথ্য সংশোধনের জন্য ৩৪৫ টাকা ফি জমা দিতে হয়।
নাম সংশোধন ব্যক্তিগত তথ্য ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত। ভোটার আইডি কার্ডে নিজের নাম এবং পিতা/মাতার নাম সংশোধন করতে প্রথমবার আবেদনের ক্ষেত্রে ২৩০ টাকা, দ্বিতীয় বার ৩৪৫ টাকা এবং তৃতীয় বার ৪০০ টাকা লাগে। (ভ্যাটসহ)
NID সংশোধন ফি জমা দেয়ার জন্য bKash App থেকে Pay Bill অপশনে যান। এখানে সরকারি ফি অপশন থেকে NID Service সিলেক্ট করুন। তারপর এনআইডি নম্বর দিয়ে আবেদনের ধরন অনুযায়ী ফি জমা দিন।
বয়স বা জন্ম তারিখ সংশোধন করার জন্য ২৩০ টাকা ফি দিতে হবে।
অবশ্যই পড়ুন –