নতুন আইডি কার্ড কিভাবে দেখব: আসসালামু আলাইকুম। আপনাদের জানাতে এলাম আরেকটি আর্টিকেল।
আর্টিকেল এর বিষয়বস্তু হচ্ছে “নতুন আইডি কার্ড কিভাবে দেখব” এ সম্পর্কে।
নতুন আইডি কার্ড যাচাই করার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন। এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলে দেব।
যদি আপনি যাচাই করার পর আপনার নতুন আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চান তাহলে এই আর্টিকেল টি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হয় নতুন ভোটাররা।
আমাদের দেশের নতুন ভোটাররা বিশেষ করে যারা গ্রামে থাকে তারা টোকেন পাওয়ার পর অপেক্ষা করে নতুন আইডি কার্ডের জন্য।
যতদিন তাদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আইডি কার্ড বিতরণ করে না, ততদিন তারা অভুক্ত অবস্থায় থাকে।
কিন্তু তারা যদি তাদের টোকেনটি ব্যবহার করত তাহলে এতদিন অপেক্ষা করতে হত না।
অবাক করা বিষয় হলো আপনি আপনার টোকনটি ব্যবহার করে মাত্র কয়েক মিনিটেই আপনার নতুন আইডি কার্ড দেখতে পারবেন এবং ডাউনলোড করে ইচ্ছামত প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
জেনেনিন টোকেন দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম।
আমাদের এই আর্টিকেলে যা যা থাকছে –
- নতুন আইডি কার্ড দেখার নিয়ম
- জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান
- নতুন আইডি কার্ড দেখার পদ্ধতি
- নতুন আইডি কার্ড ডাউনলোড এবং প্রিন্ট
- আইডি কার্ড অনুসন্ধান সম্পর্কিত সমস্যাবলি
- আইডি কার্ড ডাউনলোড সম্পর্কিত প্রশ্ন
জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডি কার্ড (NID Card) কি ?
জাতীয় পরিচয়পত্রকে সংক্ষেপে এনআইডি কার্ড বলা হয়।
প্রথম দুটি শব্দ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে এটি একটি পরিচয় সনদ। এটি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া একটি পরিচয় পত্র।
১৬ বছরের উর্ধ্বে সকল নাগরিকের জন্য এই আইডি কার্ডটি বাধ্যতামূলক সনদ।
আপনার ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে সরকারি বেসরকারি সকল কর্মকাণ্ডে আপনার পরিচয় হিসেবে এই আইডি কার্ডটি ব্যবহৃত হতে পারে।
আইডি কার্ড যে শুধু সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পরিচয় সনদ হিসেবে লাগে তা নয়। এটি পার্সোনাল ভেরিফিকেশনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
আপনি যখন অনলাইনে কোন গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্ট খুলবেন তখন এই আইডি কার্ড আপনার ভেরিফিকেশন (verification) হিসেবে কাজ করবে।
মনে করুন, আপনি একটি বিকাশ কিংবা নগদ একাউন্ট খুলতে চান। আপনি চাইলেও আপনার আইডি কার্ড ছাড়া এটি খুলতে পারবেন না।
কেননা এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকিং সেবা (banking service) প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান।
তাদের নিরাপত্তা এবং আপনার সামগ্রিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আপনার আইডি কার্ড ব্যবহার করে প্রথমে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে হবে।
তার পরই কেবল আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবেন।
আইডি কার্ডে যেসব তথ্য থাকে –
- নিজের নাম।
- বাবার নাম।
- মায়ের নাম।
- স্বামীর নাম:(মেয়ে হলে)
- স্ত্রীর নাম: (ছেলে হলে)
- গ্রাম , মৌজা, পোস্ট অফিস, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা।
- জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর।
- জন্ম তারিখ ইত্যাদি।
আইডি কার্ড তৈরি করার পূর্ব শর্ত সমূহ
বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আপনার আইডি কার্ড তৈরি করা একান্ত কর্তব্য এবং বাধ্যতামূলক।
তবে আইডি কার্ড তৈরি করার জন্য কিছু শর্ত মানতে হয়। যেমন আপনার বয়স ১৬ বছর হতে হবে। আপনার দেওয়া তথ্যগুলো নির্ভুল হতে হবে।
আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার বিভিন্ন সনদ গুলো আইডি কার্ড তৈরি করতে ব্যবহার করতে হবে। যেমন: জেএসসি সনদ, এসএসসি সনদ, এইচএসসি সনদ ইত্যাদি।
এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ কাগজগুলো হচ্ছে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ, বাসার হোল্ডিং নম্বর, বিদ্যুৎ বিলের কাগজ, আপনার পিতা-মাতার জন্ম সনদ, পিতা-মাতার আইডি কার্ড ইত্যাদি।
একজন নতুন ভোটার যখন উপরিক্ত কাগজগুলো এবং প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দিয়ে তার ভোটার ফরম পূরণ করে এবং ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করার জন্য তার জমা দেয় তখন তাকে কয়েক মাস পর একটি টোকেন দেওয়া হয়।
এই টোকেন দিয়ে মূলত নতুন আইডি কার্ড বের করা যায়।
আপনি যদি নিজ থেকে এই টোকেন ব্যবহার করে আইডি কার্ড নাও তুলেন তবুও সমস্যা নেই।
আপনাকে টোকেন দেওয়ার পর বলে দিবে কোন দিন আপনাকে প্রিন্ট করা আইডি কার্ড দেওয়া হবে।
পড়তে থাকুন, নতুন আইডি কার্ড কিভাবে দেখব।
নতুন আইডি কার্ড কিভাবে দেখব ?
আপনি যদি নতুন ভোটার হন অর্থাৎ খুব সম্প্রতি আপনি নতুন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, তাহলে আপনি নির্বাচন কমিশন থেকে একটি টোকেন পেয়েছেন।
কিংবা আপনি যদি আইডি কার্ড পেয়ে থাকেন এবং সেটি অনলাইনে আছে কিনা সেটা অনুসন্ধান করতে চান, তাহলে এক্ষেত্রে আপনার আইডি কার্ডে দেওয়া আইডি নাম্বার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন আইডি কার্ড দেখা কিংবা যাচাই করার তিনটি পদ্ধতি রয়েছে:
- নির্বাচন কমিশন, পৌরসভা কিংবা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে আইডি কার্ড যাচাই কিংবা দেখা।
- টোকেনে দেওয়া ফরম নাম্বার ব্যবহার করে আইডি কার্ড দেখা।
- জাতীয় পরিচয় পত্র দেওয়া আইডি নম্বর ব্যবহার করে আইডি কার্ড দেখা।
আপনি যদি নির্বাচন কমিশন, পৌরসভা কিংবা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে জান, তাহলে তারা সেখানে আপনাকে পূর্ণাঙ্গ সহায়তা করবে।
তারা আপনাকে কিছু তথ্য দিতে বলবে। সে তথ্যগুলো আপনি দিলে আপনাকে খুব সহজেই আপনার আইডি কার্ড দেখাতে পারবে।
আর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পদ্ধতিটি ব্যবহার করা খুবই সহজ। আজকের এই আর্টিকেলটি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পদ্ধতির উপর লিখা হয়েছে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট services.nidw.gov.bd – ec bangladesh ব্যবহার করে আপনি ফরম নাম্বার এবং জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার দিয়ে খুব সহজেই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা আইডি কার্ড দেখতে পারবেন এবং ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
নতুন আইডি কার্ড দেখার পদ্ধতি
Step 1: নির্বাচন কমিশনের সরকারি ওয়েবসাইটে নিবন্ধন।
প্রথমে আপনি আপনার মোবাইল, কম্পিউটার বা ল্যাপটপের যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করুন।
ব্রাউজার ওপেন করে নির্বাচন কমিশনের সরকারী ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
আপনি সরাসরি services.nidw.gov.bd এই লিংক থেকে যেতে পারেন। ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনি নিচের মত একটি স্ক্রিন দেখতে পাবেন।
স্ক্রিনের শুরুতেই দুটি অপশন দেখতে পাচ্ছেন। প্রথম দিতে বলা হচ্ছে রেজিস্টার করুন এবং অন্যটিতে বলা হচ্ছে আবেদন করুন।
উল্লেখ্য যে আপনি একজন ভোটার অর্থাৎ আপনি আবেদন ইতোপূর্বে করেছেন ।
আপনাকে নতুন করে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে একটি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করার জন্য “রেজিস্ট্রেশন করুন” বাটন এ ক্লিক করুন।
রেজিস্ট্রেশন করুন বাটনে ক্লিক করার পর নিচের মত একটি স্ক্রিন দেখতে পাবেন।
এখানে প্রথমে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর অথবা ফর্ম নম্বর প্রবেশ করাবেন।
যেহেতু আপনি এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র পান নি, তাই এখানে আপনি ফর্ম নম্বরটি ব্যবহার করুন।
আপনার কাছে যে টোকেনটি আছে সেটিতে ফর্ম নাম্বার উল্লেখ করা আছে।
এনআইডি কার্ডের জন্য ছবি তোলার পরে আপনাকে যে টোকেনটি দেওয়া হয়েছিল সেটিতেই ফর্ম নাম্বার আপনি পাবেন।
ফর্ম নাম্বার প্রবেশ করানোর পর নিজে আপনার জন্ম তারিখ নির্ভুলভাবে প্রবেশ করাবেন।
জন্ম তারিখ প্রবেশ করার পর নিচে একটি ক্যাপচা দেখতে পাবেন। ক্যাপচাতে যা লেখা আছে ক্যাপচার নিচের ঘরে তা হুবহু প্রবেশ করাবেন।
এরপর সাবমিট বাটনে ক্লিক করবেন।
সাবমিট বাটনে ক্লিক করার পর নিচের মত একটি স্ক্রিন দেখতে পাবেন।
ঠিকানা সিলেক্ট করুন
এই ধাপে আপনাকে আপনার স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা ব্যবহার করতে হবে। আপনার ঠিকানা যাচাই করার জন্য এই ধাপে নির্ভুলভাবে সবগুলো তথ্য ইনপুট করুন।
স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা যদি একই হয় তাহলে সেভাবে প্রবেশ করান।
অর্থাৎ আপনারা নতুন এনআইডি কার্ড করার সময় যে ঠিকানা গুলো প্রদান করেছিলেন সেই ঠিকানা এখানে প্রবেশ করান।
ঠিকানা প্রবেশ করার পর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
পরবর্তী বাটনে ক্লিক করার পর নিচে বলা কাজগুলো করুন।
Step 3: মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন করুন
এই ধাপে আপনাকে একটি মোবাইল নম্বর প্রদান করতে হবে যেটিতে একটি এসএমএস আসবে।
এই এসএমএস এর মধ্যে একটি কোড থাকবে যা দিয়ে পরবর্তীতে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে হবে। অর্থাৎ এটি টু স্টেপ ভেরিফিকেশন এর মত একটি সিস্টেম।
মোবাইল নম্বরটি দিয়ে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
পরবর্তী বাটনে ক্লিক করার পর নিচের মতো আরও ইন্টারফেস দেখতে পাবেন।
এখানে একটি কোড ইনপুট অর্থাৎ প্রবেশ করানোর কথা বলা হচ্ছে
আপনি এর আগে যে নাম্বারটি দিয়েছিলেন সে মোবাইল নাম্বারটিতে একটি এসএমএস যাবে। এসএমএসে প্রাপ্ত কোড এই ধাপে ইনপুট করে বহাল বাটনে ক্লিক করুন।
বহাল বাটনে ক্লিক করার পর নিচের মত একটি স্ক্রিন দেখতে পাবেন।
Step : এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপস এর মাধ্যমে ফেস ভেরিফিকেশন
এখানে আপনাকে ফেস ভেরিফিকেশন এর কথা বলা হচ্ছে।
অর্থাৎ আপনি যে এনআইডি কার্ড এর ফরম নাম্বার দিয়ে একাউন্টটি তৈরি করছেন সেই NID কার্ড আপনার কিনা তা যাচাই করার জন্য এই ধাপে আপনাকে ফেস ভেরিফিকেশন করতে হবে।
এখন আপনি আপনার ব্রাউজারটি এই অবস্থায় রেখে বের হয়ে আসেন ।
ফেস ভেরিফিকেশন করার জন্য আপনাকে প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে NID Wallet সফটওয়্যারটি ইন্সটল করে নিতে হবে।
ইনস্টল করার পর আবার ব্রাউজার ওপেন করে একই পেজটিতে আসেন।
পেজের নিচের দিকে লাল রংয়ের গোলাকার বড় একটি বাটন দেখতে পাবেন যেখানে লেখা আছে tap to open NID wallet এ বাটনে ক্লিক করবেন।
তারপর এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপসটি সিলেক্ট করে নিবেন।
আপনার ফেস ভেরিফিকেশন করার জন্য তিন ধরনের সেলফি তুলতে হবে।
প্রথমে আপনার ফেস এর সামনের অংশ। তারপর ডালের অংশ এবং তারপর বামের অংশ এভাবে তিনটি সেলফি তুলে নিবেন।
এভাবে সেলফি নেওয়ার পর “ওকে / ঠিক আছে” বাটন আসবে আপনি সেখানে প্রেস করবেন।
এরপর অটোমেটিক নিচের মত একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন। যদি দেখতে না পান তাহলে ব্রাউজার এ গিয়ে আবার সেই পেজটি অপেক্ষা করুন।
এখান আপনি আপনার ছবি দেখতে পাচ্ছেন।
Step 5: পাসওয়ার্ড সেট করুন
এরপর এখানে আপনাকে পাসওয়ার্ড সেট করতে বলছে।
অর্থাৎ পরবর্তীতে যদি আপনি আবার যাচাই কিংবা ডাউনলোড করতে চান তাহলে পাসওয়ার্ড এবং ইউজারনেম ব্যবহার করেই আপনি এ কাজটি করতে পারবেন।
পরবর্তীতে এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য আর ফেস ভেরিফিকেশন করতে হবে না।
এজন্য সেট পাসওয়ার্ড বাটনে ক্লিক করুন।
সেট পাসওয়ার্ড বাটনে ক্লিক করার পর একটি ইউনিক ইউজারনেম ব্যবহার করুন এবং একই ধরনের পাসওয়ার্ড দুইবার ব্যবহার করে আপডেট বাটনে ক্লিক করুন।
আপডেট বাটনে ক্লিক করার পর নিচের মতো একটি স্ক্রিন দেখতে পাবেন।
Step : এনআইডি কার্ড ডাউনলোড
এখানে আপনার সকল ধরনের তথ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। এই স্ক্রিনের শেষ পর্যায়ে ডাউনলোড নামক একটি বাটন আছে।
ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করলেই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র টি বা এন আই ডি কার্ড টি ডাউনলোড হবে পিডিএফ আকারে।
এই pdf ফাইলটি প্রিন্ট করে নিয়ে বাঁধাই করলেই সেটি হয়ে যাবে আপনার এন আইডি কার্ড।
পরবর্তীতে আপনার এনআইডি কার্ড টি যদি হারিয়ে যায় তাহলে আবার এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
আপনি যেহেতু ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড সেট করে রেখেছেন তাই পরবর্তী সময়ে এই ওয়েবসাইটে ঢোকার পর পাসওয়ার্ড এবং ইউজারনেম প্রদান করে আপনি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
আরও আর্টিকেলসমূহ –
- জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার সম্পূর্ণ নিয়ম
- জতীয় পরিচয়পত্র চেক করার নিয়ম
- জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি কত টাকা জানুন
- জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে কত দিন লাগে
নতুন আইডি কার্ড কিভাবে দেখব, যাচাই ও ডাউনলোড সংক্রান্ত প্রশ্নাবলী ।
নতুন আইডি কার্ড কিভাবে দেখবো: এর আইডি কার্ড যাচাই করার জন্য প্রথমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে একটি একাউন্ট খুলে চেক করে নিতে হবে। চেক করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করেন।
যাচাই করে ডাউনলোড করার জন্য আপনি একটি ডাউনলোড বাটন পাবেন। ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করলেই আপনার এনআইডি কার্ডটি পিডিএফ আকারে ডাউনলোড হয়ে যাবে।
প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা ভাবে কোন আইডি কার্ড যাচাই পদ্ধতি নেই। যদি প্রতিবন্ধী কেউ এন আইডি কার্ডের আবেদন করে থাকে কিন্তু এন আইডি কার্ড যদি না পায় তাহলে সে টোকেনে প্রাপ্ত ফরম নাম্বার ব্যবহার করে তার এন আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবে এবং প্রিন্ট করে নিতে পারবে।
ভোটার আইডি কার্ড যাচাই করার জন্য আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সরকারি ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। সরকারি ওয়েবসাইটের লিংক হচ্ছে এটি services.nidw.gov.bd
ডিজিটাল আইডি কার্ড যাচাই করার জন্য প্রথমে আপনি নির্বাচন কমিশনার সরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন এবং সেখানে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আপনার আইডি কার্ড ডাউনলোড এবং যাচাই করে নিতে পারবেন।
আপনার বয়স যদি ১৬ বছর হয় কিংবা এর উপরে হয় তাহলে আপনি নিশ্চয়ই জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করতে পারবেন। তবে যতদিন আপনার বয়স ১৮ হবে না ততদিন আপনি ভোট দেওয়ার জন্য উপযোগী হবেন না।
একজন লোক কখনোই দুটি আইডি কার্ড তৈরি করতে পারবে না।আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করার পর ছবি তোলার সময় তারা আমাদের চোখ-মুখ সহ নানা প্রত্যঙ্গের ছবি তুলে স্ক্যান করে নেয়। যদি কোন লোক দ্বিতীয়বারে স্ক্যান করতে যায় তাহলে সে ধরা পড়বে। অর্থাৎ এটি অবৈধ বলে গণ্য হবে।
জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডি কার্ড যাচাই করার জন্য আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর কিংবা সব নম্বর এবং জন্মতারিখ লাগে। এছাড়া আর অন্য কোন কাগজ কিংবা তথ্য দরকার হয় না। তবে যাচাই করণ পদ্ধতির শেষের দিকে ফেস ভেরিফিকেশন করতে হয়।
বাড়ির বউ হলে: উপরিউক্ত সকল ধরনের কাগজ সহ বিয়ের কাবিননামা অথবা কাবিননামা না থাকলে স্থানীয় মেম্বার অর্থাৎ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দ্বারা স্বাক্ষরকৃত একটি প্রত্যয়ন পত্রের ফটোকপি। এ প্রত্যয়ন পদ্ধতি হচ্ছে আবেদনকারী নির্দিষ্ট বাড়িতে বউ হিসেবে আছে কিনা সেটি যাচাই সম্বন্ধে।
আমাদের শেষ কথা,
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন আমাদের এই টপিক “নতুন আইডি কার্ড কিভাবে দেখব“।
নতুন আইডি কার্ড যাচাই ও ডাউনলোড করার পদ্ধতি সম্পর্কে।
আমাদের এ টপিক সম্পর্কে যদি কোন মন্তব্য থাকে তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
আর দয়া করে জানাবেন আমাদের এই আর্টিকেলটি কেমন লাগলো ?
হেল্পফুল পোস্ট।
ধন্যবাদ ভাই।