কোপা আমেরিকা, ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ফুটবল প্রতিযোগিতা, দক্ষিণ আমেরিকার জাতীয় দলগুলির জন্য একটি বিশাল উৎসব। ১৯১৬ সালে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা, যা ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপের আগেও স্থাপিত। এই প্রতিযোগিতায় সাধারণত ১০টি দেশ অংশগ্রহণ করে কিন্তু ,২০২৪ সালের কোপা আমেরিকায় মোট ১২টি দেশ অংশগ্রহণ করবে। এই দেশগুলো দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কনমেবল (CONMEBOL) এর সদস্য। এছাড়াও, মাঝে মাঝে কিছু আমন্ত্রিত দেশ অংশগ্রহণ করে থাকে, যা সাধারণত কনমেবল অঞ্চলবহির্ভূত।
২০২৪ সালে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো:
- আর্জেন্টিনা
- বলিভিয়া
- ব্রাজিল
- চিলি
- কলম্বিয়া
- ইকুয়েডর
- প্যারাগুয়ে
- পেরু
- উরুগুয়ে
- ভেনেজুয়েলা
- এবং দুটি আমন্ত্রিত দেশ।
এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে কারা সবচেয়ে সফল তা জানার জন্য এক নজর দেওয়া যাক।
আর্জেন্টিনা: প্রতিদ্বন্দ্বিতার শীর্ষে
আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, সমান সংখ্যক ১৬টি শিরোপা জিতেছে। তারা ১৯২১, ১৯২৫, ১৯২৭, ১৯২৯, ১৯৩৭, ১৯৪১, ১৯৪৫, ১৯৪৬, ১৯৪৭, ১৯৫৫, ১৯৫৭, ১৯৫৯, ১৯৯১, ১৯৯৩,২০২১ এবং ২০২৪ সালে শিরোপা জিতেছে।
আরো পড়ুন
লিওনেল মেসি কেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার?
বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল করা ১০টি দেশ
উরুগুয়ে: প্রথম যুগের সেরা দল
উরুগুয়ে কোপা আমেরিকার প্রথম যুগের সেরা দল হিসেবে পরিচিত। তারা মোট ১৫ বার শিরোপা জিতেছে, যা এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি। ১৯১৬ সালে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় উরুগুয়ে শিরোপা জিতে। এর পর থেকে তারা ১৯১৭, ১৯২০, ১৯২৩, ১৯২৪, ১৯২৬, ১৯৩৫, ১৯৪২, ১৯৫৬, ১৯৬৭, ১৯৮৩, ১৯৮৭, ১৯৯৫, ২০১১ সালে শিরোপা জিতেছে।
ব্রাজিল
ব্রাজিল, আধুনিক যুগের অন্যতম পরাশক্তি, মোট ৯ বার কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে। ১৯১৯ সালে তাদের প্রথম শিরোপা জয়ের পর থেকে, তারা ১৯২২, ১৯৪৯, ১৯৮৯, ১৯৯৭, ১৯৯৯, ২০০৪, ২০০৭, এবং ২০১৯ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
প্যারাগুয়ে, পেরু, এবং চিলি
প্যারাগুয়ে, পেরু, এবং চিলি, এই তিনটি দেশও কোপা আমেরিকায় উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে। প্যারাগুয়ে দুটি শিরোপা জিতেছে (১৯৫৩ ও ১৯৭৯ সালে), পেরু দুটি শিরোপা জিতেছে (১৯৩৯ ও ১৯৭৫ সালে), এবং চিলি দুটি শিরোপা জিতেছে (২০১৫ ও ২০১৬ সালে)। এই দলগুলি তাদের শক্তিশালী খেলার মাধ্যমে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে।
কোপা আমেরিকা ল্যাটিন আমেরিকার ফুটবল ঐতিহ্যের একটি বড় অংশ। উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা, এবং ব্রাজিলের মতো দেশগুলো এই প্রতিযোগিতায় তাদের অসাধারণ দক্ষতা এবং প্রতিভা প্রদর্শন করেছে। এই প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র দক্ষিণ আমেরিকার নয়, পুরো বিশ্বের ফুটবল প্রেমীদের জন্য একটি উত্তেজনাপূর্ণ ইভেন্ট।